প্রচ্ছদ / খবর / বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ পৌরে আ.লীগ প্রার্থী চূড়ান্ত, মংলায় ‘দ্বিধান্বিত’

বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ পৌরে আ.লীগ প্রার্থী চূড়ান্ত, মংলায় ‘দ্বিধান্বিত’

Bagerhat-ALig-Mayor-Candidetবাগেরহাটের তিন পৌরসভার দু’টিতে মেয়র পদে একজন করে প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নির্বাচন কমিটি। তবে মংলা পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারায় ৪ আবেদনকারীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।





রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাগেরহাট জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে স্থানীয় নির্বাচক কমিটির সভা থেকে এ প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়।

সভায় মেয়র পদে বাগেরহাট পৌরসভায় খান হাবিবুর রহমান এবং মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় শাহাবুদ্দিন তালুকদারকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়। তবে মংলা পোর্ট পৌরসভার ক্ষেত্রে কমিটি ‘দ্বিধান্বিত’ হওয়ায় চার আবেদনকারীর সবার নাম কেন্দ্রে সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামন টুকু বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় নির্বাচক কমিটির ওই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা: মোজাম্মেল হোসেন এমপি, সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সহ-সভাপতি এ্যাড. মীর শওকাত আলী বাদশাসহ স্ব-স্ব উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট পৌরসভা:
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নির্বাচকদের সর্বসম্মত মনোনয়ন পেয়েছেন বাগেরহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান। তিনি একাই মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলেন।

নির্বাচক কমিটি’র একজন সদস্য সভা শেষে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, সাত সদস্যের নির্বাচক কমিটির মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বাকি পাঁচ সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে খান হাবিবুর রহমানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ পৌরসভা:
মোরেলগঞ্জেও একমাত্র আবেদনকারী ছিলেন মোরেলগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন তালুকদার। পদাধিকার বলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেন বিধায় সাত সদস্যের নির্বাচক কমিটির প্রকৃত সদস্য সংখ্যা ছিল ৬ জন।

সভা শেষে জানানো হয়, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও মোরেলগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মনিরুল হক তালুকদার গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বহিষ্কারাদেশ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দলীয় মনোনয়নের জন্য তার আবেদন নির্বাচক কমিটি গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে মনিরুল হক তালুকদার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘আমি রোববার বিকেলে নির্বাচক কমিটির সভায় উপস্থিত হয়ে প্রার্থীতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচক কমিটি আমার প্রার্থিতার আবেদন আমলে আনেননি। তবে, আমি আশাবাদী যে, দল নিশ্চয়ই আমার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।’

মংলা পোর্ট পৌরসভা:
মেয়র পদে মংলায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। এরা হলেন- মংলা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদার, মংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাজাহান শিকারী, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি শেখ আব্দুস সালাম এবং মংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহমান।

শেখ কামরুজ্জামন টুকু জানান, মংলার চার প্রার্থীর মধ্যে দু’জন আগ্রহী প্রার্থী মো. শাজাহান শিকারী ও শেখ আব্দুর রহমান নিজেরাই নির্বাচক কমিটির সদস্য। তা ছাড়া এলাকায় না থাকায় নির্বাচক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও স্থানীয় এমপি তালুকদার আব্দুল খালেক সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। ফলে আমরা দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধান্বিত হয়েছি।

‘এ অবস্থায় নির্বাচক কমিটির উপস্থিত ছয় সদস্য সর্বসম্মতভাবে মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে পৃথক ও গোপনভাবে আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত লিপিবদ্ধ করে তা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কেন্দ্রে (ঢাকায়) পাঠিয়ে দিচ্ছি। কেন্দ্র এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’

২৯ নভেম্বর :: সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এস/আইএইচ/এনআরএ/বিআই

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ