প্রচ্ছদ / খবর / রাতের আঁধারে পোস্টারিং, অনেক নেতাই জানেন না

রাতের আঁধারে পোস্টারিং, অনেক নেতাই জানেন না

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি নেতার পোস্টার

চিফ নিউজ এডিটর | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

দলের চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত পোস্টারে ছেয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল ও মংলা উপজেলা।

স্থানীয়রা বলছেন, গেল বুধবার রাতের আঁধারে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুই উপজেলার বিভিন্ন সড়কের রাস্তার দেয়ালে, দোকানের সাটারের, গাছে ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে শোভা পাচ্ছে পোস্টার।

প্রচারিত পোস্টারে বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও বাগেরহাট-৩ (মংলা-রামপাল) সংসদীয় আসনে দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী লায়ন ড. ফরিদুল ইসলামের নাম লেখা রয়েছে। তবে স্থানীয় নেতারা বলছেন, তিনি সব সময় ঢাকাতে থাকেন। জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে ওই নেতার দেখা মেলে না বললেই চলে।

হঠাৎ করে রাতের আঁধারে এই এলাকায় বিএনপি নেত্রীর মুক্তি দাবির পোস্টার দেখে বিএনপি নেতা কর্মীরাই অবাক হয়েছেন। তারা বলছেন, আমরা জানতেই পারলাম না, হঠাৎ করে রাতের অন্ধকারে লাগানো পোস্টার দেখে মনে হচ্ছে বিএনপি একটি নিষিদ্ধ দল।

তবে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের দাবি, সংঘাত ও পুলিশী হয়রাণি এড়াতে গোপণে এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে।

তিনি বলেন, রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজার, গিলাতলা বাজার, রামপাল সদর, শ্রীফলতলা, এবং মংলা উপজেলার পৌর এলাকা, চিলা, সুন্দরবন, চাঁদপাই, মিঠাখালি ও সোনাইলতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার লাগানো হয়েছে। এই দুই উপজেলায় দলের নেতাকর্মীরা ৫০টি দলে ভাগ হয়ে বুধবার রাতের অন্ধকারে (সারারাত) অন্তত ১৫ হাজার পোস্টার লাগিয়েছেন।

এতো বড় দল বিএনপি কিন্তু রাতের অন্ধকারে পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কি রামপাল ও মংলা উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জানানো হয়েছে কিনা এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না আমি দলের নেতাদের বিপদে ফেলতে চাইনি। এই পোস্টার তারা লাগালে পুলিশ বা সরকারি দলের নেতাদের তোপের মূখে পড়তে পারেন তাই আমি তাদের জানাইনি।

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে বাগেরহাটে না থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলাম বলেন, জেলা বিএনপি সব সময় তোশামদি কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ প্রশাসনকে তোয়ায করে কর্মসূচি পালন আমার ভাল লাগে না, তাই আমি আসি কম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র একাধিক জেষ্ঠ্য নেতা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম সব সময় ঢাকাতে থাকেন, সেখানে তার ব্যবসা আছে। কেন্দ্র ঘোষিত অধিকাংশ কর্মসূচিতেই তিনি থাকেন না।
নিজ এলাকা রামপাল ও মংলা উপজেলার দলের নেতা কর্মীদের বড় একটি অংশের সাথেও তার যোগাযোগ কম। তিনি কিছু অনুসারিদের সাথে যোগাযোগ রেখে দল করছেন।

মংলা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধ শেখ আবু হানিফ এবং পৌরসভার মেয়র বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফরিদুল ইসলাম তার অনুগত অনুসারিদের দিয়ে এই পোস্টার লাগিয়েছেন। তিনি দলের নেত্রীর পোস্টার ছাপিয়ে এলাকায় পাঠিয়েছেন তা আমরা আগে জানতেই পারিনি।

বৃহষ্পতিবার মোড়ে মোড়ে পোস্টার দেখে জানতে পারলাম। এটা দেখে মনে হচ্ছে বিএনপি বর্তমানে একটি নিষিদ্ধ দল। সরকার এই বৃহৎ রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য ওই নেতাদের।

এইচ//এসআই/বিআই/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ