স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুরের উপর হামলার ঘটনার ১১ দিন পর মামলা হয়েছে।
রোববার (২২ জুলাই) রাতে ছাত্রলীগ নেতার মামা শাহাজাহান শেখ বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ডাকাতি ও লুটের অভিযোগে মামলা করেন। এতে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হামলার পরপর পুলিশ কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন অন্তত ৭ জনকে আটক করে। তবে পরিবারের দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের সবার বাড়ি কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
গত ১০ জুলাই ভোরে ভ্যানযোগে বাড়িতে ফেরার পথে সাইনবোর্ড-কচুয়া সড়কের কাটাবটতলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা ছাত্রলীগ নেতা ইসতিয়াকের উপর হামলা চালায়। ঘটনার পর বিক্ষুব্দ স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগ সড়ক অবরোধ, ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। তারা ওই হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলেও দাবি করেন।
মামলার বাদি ও ছাত্রলীগনেতা ইশতিয়াকের মামা শাহাজাহান শেখ বলেন, তার ভাগ্নে এখনও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুই হাতে সফল অস্ত্রোপচার শেষে ধীরেধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছেন তিনি।
মামলার এজাহারের উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ জুলাই কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুর পরিবহণযোগে ঢাকা থেকে কচুয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় নামেন। সেখানে নেমে তিনি ব্যাটারী চালিত ভ্যানযোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে কাটা বটতলা এলাকায় পৌছলে চন্দ্রপাড়া গ্রামের রাসেল শেখের নের্তৃত্বে ৮/৯ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল তার ভ্যানের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে জখম করে তার কাছে থাকা নগদ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা, মোবাইলসেট ও ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড লুট করে পালিয়ে যায়।
ওই সময়ে ভ্যানে থাকা অপর দুই যাত্রী রাধিকা প্রসাদ মিত্রের মোবাইলসেট ও তার স্ত্রীর স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক হামলাকারীদের মধ্যে ছয়জনকে চিনতে পেরেছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা এই এলাকার পেশাদার সন্ত্রাসী।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল কবির বলেন, মামলাটি নথিভূক্ত করে তা তদন্ত করতে কচুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার ইকবাল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, লুট ও ডাকাতির অভিযোগে হামলা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের আগেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন অন্তত সাতজনকে আটক করে। মামলার এজাহারে তাদের কারো নাম নেই। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।
এজি/এসএই//এসকে/বিআই/২৩ জুলাই ২০১৮
** ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা: আরও ৫জন আটক
** হামলার দু’দিনেও মামলা হয়নি
** ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More