প্রচ্ছদ / খবর / বাগেরহাট / কচুয়া / বাগেরহাটে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

বাগেরহাটে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

ইশতিয়াক হোসেন
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুরকে (৩২) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) ভোরে ভ্যানযোগে বাড়িতে ফেরার পথে সাইনবোর্ড-কচুয়া সড়কের রাঢ়িপাড়া কাটা বটতলা এলাকায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ইসতিয়াকের উপর হামলা চালায়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছাত্রনেতা ইশতিয়াক কচুয়া উপজেলা সদরের প্রয়াত বাশারত হাজরার ছেলে।

হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে সকালে কচুয়া বাজারের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অভ্যন্তরীণ সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কচুয়ার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

কচুয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ঝুমুর বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুর পরিবহনযোগে ঢাকা থেকে কচুয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় নামেন। সেখানে নেমে তিনি ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়িযোগে কচুয়ার বাড়িতে ফেরার পথে কাটা বটতলা এলাকায় পৌঁছালে পাঁচ থেকে ছয়জনের সশস্ত্র দুর্বৃত্তের দল তাঁর গাড়ির গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।

পরে ওই ভ্যানের চালক রুবেল ও অন্য দুই যাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ইশতিয়াককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল কবির বলেন, ইশতিয়াক হোসেনের দুই হাত, দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে দুর্বৃত্তরা ইশতিয়াকের ওপর হামলা করেছে, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।

কচুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম সুমন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক বাজারের ব্যবসায়ী। তার উপর হামলার ঘটনায় বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

জড়িত হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তারা গ্রেপ্তার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

ঘটনার পর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কচুয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় এক ঘটনা ধরে আলোচনা করেন।

পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক হোসেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি যে ভ্যানে করে ফিরছিলেন ভ্যানটিতে অন্য আরো দুজন যাত্রী ছিলেন। শুধু ইশতিয়াকেরর উপরই হামলা হয়েছে। তাই ধারণা করছি এটি পূর্ব পরিকল্পিত।

হামলাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে। আমরা স্থানীয় নেতাদের সাথেও কথা বলেছি, তারা সড়কে যান চলাচল সাভাবিক করতে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে বিকাল পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে রাখে। তাঁরা রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

এজি//এসআই/বিআই/১০ জুলাই ২০১৮

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ