প্রচ্ছদ / খবর / হত্যার পর ডোবায় ফেলে দেওয়া হয় শিশুটিকে

হত্যার পর ডোবায় ফেলে দেওয়া হয় শিশুটিকে

এই ভাবে পাঁচ মাস আগে হত্যা করা হয় শিশুটির চাচাতো ভাইকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম

রিফাত তালুকদার

বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি ডোবা থেকে রিফাত তালুকদার নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌদ্দহাজারী গ্রামের একটি বাগানের ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও পরিবারের ধারণা, শিশু রিফাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবার পানিতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

রিফাত তালুকদার চৌদ্দহাজারী গ্রামের আব্দুল মান্নান তালুকদারের ছেলে।

এর আগে গত চলতি বছরের ১৫ জুন আব্দুল মান্নানের বড় ভাই কাওসার তালুকদারের ছেলে খালিদ তালুকদার (৬) নিখোঁজ হয়। দুদিন পর ১৭ জুন বাড়ির পাশে মাছের একটি ঘেরে খালিদের খালিদের মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় কাওসার তালুকদার বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় কয়েকজন আটক হলেও শিশু খালিদ হত্যার রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

পরিবারের বরাত দিয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আবজাল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে শিশু রিফাত তার মাকে পাশের বাড়িতে খেলতে যাচ্ছে বলে বের হয়। কিন্ত ফিরে না আসায় তার মা তাকে খুঁজতে বের হয়। পাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।

‘এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় দুই শিশু প্রতিবেশী মুকুল হালদারের বাড়ির বাগানে সুপারি কুড়াতে গিয়ে ডোবায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।’

মাহফুজ আবজাল বলেন, শিশুটির শরীরের বাহ্যিক অংশে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে ফেলতে এই ডোবায় ফেলেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

কারা কেন শিশুটিকে এভাবে হত্যা করল সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তারা কাজ শুরু করেছে।

বুধবার সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে।

গত সোমবারও ফকিরহাটের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

এজি/আইএইচ/বিআই/২৬ নভেম্বর, ২০১৯

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ