বাগেরহাটে দরপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে যুবলীগ কর্মী কালু শেখ নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং পৌর যুবলীগ সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর শিপন মিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের নির্বাহী সদস্য কালু শেখ (২৬) মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
বুধবার রাতে নিহত কালুর মা মঞ্জু বেগম বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৮ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে আসামিরা শহরের নাগেরবাজার এলাকায় প্রধান আসামি ইদ্রিস শেখ তার বাড়ির সামনে অন্য আসামিদের নিয়ে যুবলীগ কর্মী মামুন ওরফে কালুকে লক্ষ করে গুলি করে। এ সময় কালু মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ মামলার বিষয়ে পুলিশ জানান, মামলায় পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানের তিন ভাতিজা খান আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৮), শহীদ খান (৩৬), আলী খান (৩০) এবং দুই শ্যালক শেখ ইদ্রিস আলী (৪০) ও শেখ মিজানুর রহমান বাবুসহ (৩০) অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এরমধ্যে খান আবু বক্কর সিদ্দিক রুপসা-বাগেরহাট আন্ত:জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক, শেখ ইদ্রিস আলী যুবলীগ নেতা এবং শেখ মিজানুর রহমান পৌর যুবলীগের ৭ নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে, একই দিন রাত ৮টার দিকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস র্টামিনাল এলাকায় যুবলীগের বক্কর গ্রুপের গুলিতে ৬ বছরের শিশু সৈকত আহত হয় বলে অভিয়োগ করে শিশুটির নানা নান্টু ফকির বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় খান আবুবক্করকে প্রধান আসামি করে আর একটি মামলা দায়ের করেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত মো. মিজানুর রহমান জানান, এ দু’টি মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More