বাগেরহাটের কচুয়ায় দুর্বৃত্তরা দুই মুক্তিযোদ্ধার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে অন্তত দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবি করেছেন।
বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের ফুলতলা বাসস্ট্যাণ্ডে অবস্থিত মুদি ও সাার-কীটনাশকের এই দোকান দুটি পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার পর শুক্রবার সকালে বাগেরহাটে সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে দুর্বৃত্তদের পুলিশ আটক করতে পারেনি।
পুড়ে যাওয়া মুদি দোকানের মালিক মাহমুদ হোসেন (৬৫) অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সার ও কীটনাশকের দোকান মালিক শেখ মতিয়ার রহমানও (৭২) একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাদের দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তারা সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করতেন।
মাহমুদ হোসেন জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাতে অন্যান্য দিনের মত দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে স্থানীয় লোকেরা মুঠোফোনে আমাকে দোকানে আগুন লাগার খবর দেয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌছানোর আগেই দোকানটি সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়। দোকানে অন্তত আট লাখ টাকার বিভিন্ন মুদি মনোহরী মালামাল ছিলো। কারা এ কাজ করেছে আমি জানিনা।’
অপর ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এক বছর আগে আমি দুই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে সার-কীটনাশক ও মাছের খাবারের এই দোকানটি চালু করি। আমার দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। আগুন লাগার মত কোন দাহ্য পদার্থও ছিলো না। কে বা কারা আমার দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে।’
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বাগেরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাইরে তেকে আগুন লাগানো হয়েছে। গত ২৭ ফেব্র“য়ারী এখানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ঘটনাটি পরিকল্পিত শক্রুতামূলক না কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক তা তদন্ত করা হচ্ছে।’
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More