গোধূলী থেকেই আকাশের দখল নিয়েছে পূর্ণ চন্দ্র।
স্বত্তা এখন যন্ত্রনার কাতরতায় নেশাগ্রস্ত।
বয়ে যায়, প্রতিটি সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা।
মস্তিষ্কের উপহাসে
স্বেচ্ছা নির্বাসে
রাহুর গ্রাসে ঢেকে যায়, রূপালী আলো।
নেমে আসে আধার,
পলেস্তরা খসা ঘরটি অন্ধকারাচ্ছন্ন,নির্জীব কালো।
প্রতিটি নিউরন চিন্তামগ্ন,
হৃদয়ের নিলয়, অলিন্দ আঘাতপ্রাপ্ত ভগ্ন।
না তাকে আঘাত করেনি কেউ,
তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি,
নিজেই ছিড়ে ফেলেছিল কবিতার খাতা,
হতে চায়নি সে দেবীর হাতে গাথা।
যতখানি নির্মমতায় আঘাত করেছিল সে দেবীকে
নিউটনের সূত্র ভুল প্রমাণ করে, তারও অধিক বিদ্ধ হয়েছে ধ্রুব’র বক্ষে।
ধমনীতে প্রবাহিত হয়না রক্তের শুদ্ধধারা,
এখন সে সমাজবিহীন, আত্মহারা।
তবু সে পায়না মুক্তি,
আবেগ বশে রাখতে পারেনা সাজানো যুক্তি,
ভুল প্রমাণিত হয়ে তার দাম্ভিকতা,
খুবলে খায় প্রতিটি মূহুর্তে একাকী নিঃঙ্গতা।
শিরায় প্রবাহিত জলীয় রক্তিম পদার্থ আজ নিকোটিনের আতিশায্যে কলুষিত।
দেবীবিহীন ধ্রুব’র জীবন বুড়িগঙ্গার ন্যায় পঙ্কিল দূষিত।
এমন পূর্ণচন্দ্রের রাতে আলোকচ্ছটার মত হয়ত মূর্ছিত হত
কোনো অমর কাব্য।
কিন্তু ধ্রুব আজ মৃত
কাব্যরসের দরজাকে সে নিজ হাত করেছে রুদ্ধ।
বেঁচে থাকা আজ জীবন্ত দহনের ন্যায় অসহ্য
ধ্রুব,
সেতো আজ, নিঃস, নিঃসঙ্গ।
দেবী হারিয়ে আকাশের চাঁদ অপূর্ণ।
ধ্রুব পড়ে রয় মুদিত চোখে
হয়ে কবিত্ব শূন্য।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More