প্রচ্ছদ / খবর / বাগেরহাটে বাড়ছে মাদকাসক্ত শিশু

বাগেরহাটে বাড়ছে মাদকাসক্ত শিশু

বাগেরহাটের শিশুকিশোরদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে মাদকের নেশা।
বাগেরহাটের জেলা শহরে ১৪-১৫ বছরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এ প্রবণতা। শিক্ষার্থীরা সাধারণত স্কুল পালিয়ে, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নেশা করে।
bagerhatinfo.conমাদকাসক্তরা এই কিশোর সাধারণত বিড়ি, সিগারেট, গাঁজা, বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ও আঠা দিয়ে নেশা করছে। এগুলো সংগ্রহ করা শিশুকিশোরদের জন্য এখন আর কঠিন নয়।
শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র বিপ্লব দাস। সে পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। অষ্টম শ্রেণি থেকে সে মাদক ব্যবহার শুরু করে। পড়াশোনায় মনোযোগ না থাকায় দিন দিন তার ফলাফল খারাপ হতে থাকে।
বিপ্লব জানায়, ‘মাদকের পথ ছেড়ে আসার চেষ্টা করলেও তা পারছি না।’ তার বাবা অলক দাস বলেন, ‘বিপ্লব তার বন্ধুদের সঙ্গে মিশে এ ধরনের নেশায় লিপ্ত হয়েছে।’
বিপ্লবের মতো অনেক কিশোর হয়ে পড়ছে মাদকাসক্ত। যাদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সাধারণত বন্ধুদের দ্বারা প্ররোচিত হয়েই তারা এ পথে পা বাড়াচ্ছে বলে জান যায়।
এ বিষয়ে বাগেরহাট আদর্শ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুখার্জী রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি।’
আমলাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা রহমান বলেন, ‘ছেলেরা নেশা করে শুনেছি। এ বিষয়ে অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দাবি করেন, বাগেরহাটে শিশুদের মাঝে মাদকের প্রবণতা খুব বেশি নেই। তবে পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে।
শহবের প্রান কেন্দ্রের বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুল, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমলাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাগেরহাট সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদক ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
স্বচেতন মহলের প্রত্যশ্য এব্যপারে প্রসাশন ও বিদ্যালয় কতৃপক্ষ দ্রুত যথাযত  ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। সেই সাথে অভিবাবক দের হতে হবে আরও স্বচেতন। নয়ত সামজে মহামারী হয়ে দেথা দিতে পারে মাদকের অভিশাপ।
২৩ এপ্রিল ২০১৩ :: সৌরভ সোমাদ্দার, শিশু সংবাদিক
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।

About আমাদের কথা

প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মত শিশুদেরও আছে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি, কল্পনার আর ভাবনার জগত। তাদেরও বলবার আছে। তাদেরও কিছু ভাবনা আছে এই সমাজ, দেশ কিম্বা বিশ্বকে নিয়ে। তাই শিশুদের নিয়ে শিশুদের কথা বলতে আমাদের আয়োজন ‘আমাদের কথা’। এখন থেকে তোমাদের সাংবাদিকতা; তোমাদের লেখা গল্প, কবিতা, অধিকার আদায়ে বিষয় তুলে ধরবে ‘আমাদের কথা’।