প্রচ্ছদ / খবর / বাগেরহাটে দমকা হাওয়া ও ভারী বর্ষণ, উপকুলবাসীর ঠাঁই মিলছে আশ্রয় কেন্দ্রে

বাগেরহাটে দমকা হাওয়া ও ভারী বর্ষণ, উপকুলবাসীর ঠাঁই মিলছে আশ্রয় কেন্দ্রে

সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের সর্বত্র বুধবার সন্ধ্যা থেকেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কারণে মানুষ দিক-বিদিক ছোটা ছুটি শুরু করে।

রাত যতই বাড়েছে সেই সঙ্গে চলছে মৃদু দমকা হাওয়া আর থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। আর মধ্য রাতের পর থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ এখন পর্যন্ত চলছে । ফলে সামগ্রীক দূর্যগ পূর্ণ আবহওয়া মধ্যে আতংক বড়ছে উপকুলবাসীর। বিভিন্ন আশ্রায় কেন্দ্রে আশ্রায় নেওয়া উপকুলবাসী বারবার সিডর এর সেই দু:সহ স্মৃতি স্মরণ করে মহান সৃষ্টি কর্তার নিকট প্রার্থনা করছেন।

ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বাগেরহাট ও মংলার জন্য ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করার পর থেকেই জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। বিশেষ করে জেলার শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর তীরবর্তী গত সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী মহাসেনের খবরে আগে থেকেই ভীত হয়ে পড়েছে।

সন্ধ্যা থেকে মংলায় হালকা ও মাঝারি বর্ষণ হচ্ছে। পশুর নদী ও সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়ছে উত্তাল ঢেউ। মংলা বন্দরে অবস্থানরত সব জাহাজকে বিভিন্ন জেটিতে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালী ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের ২৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মহিষচরণী গ্রামের কালেজ প্রভাষক মো. আল-আমিন জানান, সতর্ক বার্তা পেয়ে সাইক্লোন শেল্টারে সন্ধ্যার পর থেকেই গ্রামবাসীরা ছুটে আসছেন। তিনি আরো জানান, সন্ধ্যা থেকেই হালকা ও মাঝারি বর্ষণ হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।

বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই সাধারণ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ভিড় করছে। খুড়িয়াখালী গ্রামের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে ৩’শ নারী-পুরুষ আশ্রয় নিয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক শুকুর আলী জানান, ইতোমধ্যেই জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মংলা এ চারটি উপজেলায় দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতিমূলক সভা করে দুর্যোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রশাসনের সর্বত্ত প্রস্তুতির কথা জানিয়ে আতংকিত না হয়ে সকলকে ধৌর্যের সাথে এ দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আহবান জানান তিনি।

১৬.০৫.১৩ :: নিউজ করেসপন্ডেন্ট
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।

About ইনফো ডেস্ক