প্রচ্ছদ / খবর / বিএনপি বাগেরহাটকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছিল

বিএনপি বাগেরহাটকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছিল

??????????খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে :  বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট বাগেরহাটকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছিল। শেখ হেলালের জনসভায় বোমা হামলা করে ৮জনকে মেরে ফেলে। সংখ্যালঘুদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। একটার পর একটা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা।
তিনি আজ বিকারে বাগেরহাটের খানজাহান আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠের জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি উন্নয়ন চায় না। বাগেরহাটে আমরা যে প্রকল্প ১৯৯৬ সালে হাতে নিয়েছিলাম তারা সেটা বন্ধ করে দিয়েছিল।
আগামীতে ক্ষমতায় গেলে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা বাধ্যতা মূলক ও প্রাথমিক পর্যায় থেকে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতা মূলক করা হবে বলে ঘোষনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিরধীদলের নেত্রী নিজে মেট্টিক পাস করতে পারেন নি। তাই এ দেশের ছেলে মেয়েরা শিক্ষত হক তা তিনি চান না। তাই একের পর এক হরতাল দিয়ে তাদের শিক্ষা জীবণ ধ্বংস করছেন বিরধীদলের নেত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন,- বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল। ওরা হত্যা করে- মানুষের শান্তি কেড়ে নেয়- ঘুম কেড়ে নেয়। ওরা শুধু জানে হত্যা, সন্ত্রাস, দূর্ণীতি, লুটপাট ও মানিলন্ডারিং।
এই বিএনপি-জামায়াতের সাথে এখন জুটেছে হেফাজত। ওরা ইসলামের নামে রাজনীতি করে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে। ওদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি আমাদের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারÍম। সেখানেও তারা ভাংচুর চালিয়েছে-আগুন দিয়েছে। শত-শত পবিত্র কোরআন শরীফ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওনার দল ও জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে দেশের কোন উন্নয়ন করে না। খায় লুটপাট করে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াট বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা নামিয়ে আনে ৩হাজার ২শ মেগাওয়াটে।
এসময় তিনি যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, জিয়াউর রহমান এদেশে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার বন্ধ করে ছিলেন। আর আজ খালেদা তাদের বাঁচানর জন্যে উঠে পড়ে লেগেছেন। আ’লীগ যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার শুরু করেছে। আগামীতে ক্ষমতায় এলে তাদের বিচার শেষ কারা হবে বলে এসময় ঘোষনা দেন তিনি।
বিএনপি পিলখানা হত্যা কান্ডের বিচার বাঁধা করা চেষ্টা করেছিল বলে এসময়ে অভিয়োগ করেন প্রধনামন্ত্রী।
এসময় তিনি বর্তমান আ’লীগ সরকারে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে, আগামীতে আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতায় আনতে বাগেরহাট বাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান।
PM-in-Rampal
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার চাওয়ার পাওয়ার কিছু নাই। আমি শুধু বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো। আমি প্রয়োজনে রক্ত দিবো। আপনারা শুধু নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।”
তবে আগামী ১০ম জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এসময় তিনি কিছু বলে নি।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপির সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহম্মেদ এমপি, বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, এ্যাড. মীর শওকত আলী বাদশা এমপি, এম এ আউয়াল এমপি, সাবেক হুইপ এস এম মোস্তফা রশীদি সুজা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শেখর, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি হাওলাদার মোহম্মদ বদিউজ্জামান সোহাগ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান, মীর ফজলে সাঈদ ডাবলু, ছেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস প্রমূখ।
PM-in-Rampal-2এর আগে সভাস্থলে পৌঁছে তিনি মঞ্চের পাশে নির্মিত ৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১১টি প্রকল্পের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।
উদ্বোধনকৃত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, বলেশ্বর নদীর উপর নির্মিত মীর সাখাওয়াত আলী দারু সেতু, বাগেরহাট পৌরসভার নতুন ভবন, শরণখোলা ডি এন কাররিগরী কলেজ কাম সইক্লোন সেন্টার, খুলনা বিভাগীয় হ্যাচারীসহ হাঁস প্রজন্ন খামার, বাগেরহাট ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, কচুয়ায় শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি কলেজ ও নবনির্মিত কচুয়া আওয়ামী লীগ ভবন। আর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন কৃত প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সরকারি পিসি কলেজের একাডেমিক ভবন-কাম পরীক্ষা কেন্দ্র, সাইবোর্ড থেকে শরণখোলার বগী পর্যন্ত সড়কে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করণ, শরণখোলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রভৃতি।
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর আগমন উপলক্ষে সকাল থেকে মাঠে আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। তিনি মাঠে পৌঁছানর আগেই কানায় কানায় ভরে যায় খানজাহান আলী কলেজ মাঠ।
আর অল্প কিছু ক্ষনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে ভাষন দেবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জুড়ে গ্রহণ করা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সভাস্থল ও এর চারপাসে গড়ে তোলা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
জনসভা শেষে বিকাল ৫টায় তিনি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

১৩ নভেম্বর ২০১৩ :: ইনজামামুল হক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।

About ইনফো ডেস্ক