প্রচ্ছদ / লেখালেখি / ‘মানুষের মুক্তি না হলে কাব্যেরও মুক্তি হবে না‘– মোহাম্মদ রফিক (০৪)

‘মানুষের মুক্তি না হলে কাব্যেরও মুক্তি হবে না‘– মোহাম্মদ রফিক (০৪)

কবি মোহাম্মদ রফিকে সাক্ষাৎকার: তৃতীয় অংশের পর

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: সেই ঘটনাটা মানে ঐ দিনের ঘটনাটা আমি জানতে চাই, যেদিন আপনি প্রথম—

মোহাম্মদ রফিক : Rafik Mainএখন প্রশ্ন হচ্ছে যে তোমার মনে নেই, এরশাদ যখন প্রথম ক্ষমতায় আসলো, ৮৩ সালের জুন জুলাই টুলাই হবে, আমি এখন ভুলে গেছি। তো তখন কিন্তু কোনো দলই, প্রথম এরশাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে নি বাংলাদেশে। হাঁ বিএনপি বলো, আওয়ামী লীগ বলো, কমিউনিস্ট বলো, কেউই না। আমি সেদিন খুলনা আজম খান কলেজে। ছাত্র ইউনিয়নের অনুষ্ঠানে গেছি তাদের প্রধান অতিথি হিশেবে সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে। তো পরদিন আবার ঢাকায়, তখন আমার চুল বড় তো, দেখি যে, যশোর থেকে আর্মি যাচ্ছে। আমি একটু অবাক হলাম, আর্মি যায় কেন? তারপরে দেখি, ফরিদপুরে এসেছি, এসে ফরিদপুরে বাস থামিয়েছে, নেমে আমি একটু চা খেতে বসেছি।

দেখি লোকজন আমার দিকে ইয়ে মানে খুব অন্যরকমভাবে তাকাচ্ছে। আমি খুব সংশয়ে পড়ে গেলাম। তো একজন বয়স্ক লোক উঠে এসে আমার পাশে বসে আমতা আমতা করে বলল, আপনি কোন পীরের মুরিদ? বললাম, না আমি কোনো পীরের মুরিদ না। কিন্তু আপনাকে তো বলতে হবে যে আপনি অমুক পীরের মুরিদ। আমি বললাম, কেন? বলল, আপনার যে বড় বড় চুল। আমি বললাম তাতে কি হয়েছে? বলল, আপনাকে তো ঘাটে আর্মি এসে ধরবে, পুলিশ চুল কেটে দেবে। আমি বললাম—কেন? বলল, জানেন না যে, আর্মি, পুলিশ নেমেছে। মার্শাল ল’ জারি হচ্ছে এবং চুল কাটছে। আমি খুব লজ্জিত বোধ করলাম, মানে খুব খারাপ লাগল যে, আমার চুল কাটবে? তো আমি, যাই হোক, আমি মনে খুব আতঙ্ক নিয়ে এসে পৌঁছালাম। জাহাঙ্গীরনগর এসে পৌঁছালাম।

তার কয়েকদিন পরে দেখি পত্রিকায়, মনে হয় দৈনিক বাংলায়, প্রথম পৃষ্ঠায় দেখি এরশাদ সাহেবের কবিতা। ভালোবাসা বিষয়ক। আর সেটি কিছু হয় নি, মানে কবিতার। এবং আমি ইন্টারোগেশনে সেই আর্মি অফিসারকে বলেছিলাম, এই কবিতা যদি আপনি লিখতেন, এই কাগজে ছাপা হতো? উনি বলল, না। তাহলে আজকে কেন এই প্রথম পাতায় ছাপা হলো? যাই হোক তারপরে বলি,

আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম! যে ভালোবাসার চেতনায় বাঙালি খুব সমৃদ্ধ। সেটা নিয়ে হাসি তামাশা করা। সর্বত্র এরা আমাদের মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রকল্প নিয়ে নেমেছে। মানে মার্শাল ল’ জারি হওয়া না। মূল্যবোধগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়ার ব্যবস্থা।

হঠাৎ একদিন আমি কেন জানি, জানি না, রাতে কবিতাটা লিখতে বসে গেলাম।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: সব শালা কবি হবে, পিঁপড়ে গো ধরেছে উড়বেই...

মোহাম্মদ রফিক : হাঁ, সে যাই হোক। ওর ভেতরে অনেক ব্যাপার আছে—

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: অবশ্যই, ঐ যে আপনি বলেছেন, যার মাথায় বুদ্ধি আছে সে বুঝবেই।

মোহাম্মদ রফিক : ওর ভিতরে চুলের ঘটনাটাও কিছুটা আছে। বেয়াদব চুল রেখে রাস্তা ঘাটে বেরুব না। তা যাই হোক আমি ঐ লিখে ভাবলাম যে এটাকে কি করা যায়? প্রথমেই ভাবলাম, এটা প্রচার হওয়াটা দরকার। তো ছাত্র ইউনিয়নের এক ছেলেকে বললাম। যা হোক তখন আবিদ আজাদ কবি, ওঁর একটা প্রেস ছিল, আমি আবিদ আজাদের শরণাপন্ন হলাম, এটা ছেপে দেবে নাকি? আবিদ রাজি হলো এই শর্তে যে, আমি এটা চেপে রাখব। যখন আর্মি দেখেছে, আমি বলেছি যে, এটা আমার লিখা, তো প্রত্যেকের ক্ষেত্রে যেটা আমি বলব যে, একজন আন-উইলিং লোককে আমার উইলিং কাজের পার্টনার হতে দেওয়া। আপনাদের অনেক ইয়ে আছে, পারলে খুঁজে বার করবেন, কোত্থেকে। যাই হোক, আবিদ আজাদের প্রেস থেকে ছেপে ছাত্রদেরকে দিলাম বিলি করতে। তারপরে তো কবিতাটা মহা ইয়ে পেয়ে গেল। কত লক্ষ কোটি ছাপা হয়েছে হিশেব নেই।

রংপুরে গিয়েছিলাম এক অনুষ্ঠানে, এক ছেলে এসে আমাকে বলল যে, আপনাকে আমি মিষ্টি খাওয়াব। বললাম, কেন? বলল, যে স্যার, আপনার খোলা কবিতা না হলে তো আমি বিয়ে করতে পারতাম না।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: মানে?

মোহাম্মদ রফিক : সে বলে যে, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করছিলাম কিন্তু টাকা পয়সার জন্যে বিয়ে করতে পারছিলাম না।


আমি আপনার খোলা কবিতাটা হাতে পেলাম আর সেটা ফটোকপি করে ১০০ টাকা করে বেঁচে বিয়ে করে ফেললাম।


শিমুল সালাহ্উদ্দিন : (হাততালি) হা হা হা।

মোহাম্মদ রফিক : তো আমি এখন ঐ বিয়ের অনুষ্ঠানে তো আর নিতে পারব না, তাই এখন আপনাকে মিষ্টি খাওয়াব। তখন সে আমাকে রংপুরের প্রধান মার্কেটে নিয়ে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ালো।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: এটা তো একটা অসাধারণ প্রাপ্তি হিসেবে রয়ে গেল।

মোহাম্মদ রফিক : আমি আরেকটা ঘটনা বলি, আমি কলকাতা যাব। তো বাসের টিকেট কাটতে গিয়েছি কলাবাগানের ঐখানে। তোমার বয়সী একটা ছেলে লিখছে, টিকেট কাটছে, সে বলছে, একটা খাতায় নাম লিখতে হবে। নাম কি আপনার? আমি বললাম, মোহাম্মদ রফিক। অবাক হয়ে বলে, আপনি খোলা কবিতার লেখক? আমি বললাম যে, হাঁ কেন, কি হয়েছে? বলল, আপনার কাছ থেকে আমি একশ টাকা কম নেব। টিকিটের দাম তিনশ টাকা ছিল, সেটার একশ টাকা বোধহয় সে তার পকেট থেকে দিয়েছে। নিলই না। এগুলোই তো ভালোবাসার প্রমাণ।

মোহাম্মদ রফিক : ড. আখলাকুর রহমান একদিন আমাকে বলে, জানো, আমি তোমার খোলা কবিতার কত কপি বিক্রি করেছি! আচ্ছা, তারপরে তারেক আলী, লন্ডনে আলী তখন নিযুক্ত ছিল। ওরা আমাকে বলে যে, ওদের বাড়িতে একদিন ইন্ডিয়ান অ্যাম্বেসির এক অফিসার গেছে, সে বলছে, এখানে আপনাদের মোহাম্মদ রফিক নামে একটা লোক কবিতা লিখেছে, এক ডলারে বিক্রি হচ্ছে। তো আলী তখন বলছে, ওটা এক ডলার নয় এক টাকা দাম যাতে সব লোকে পড়ে। বলে, তাই নাকি? এর কিছুদিন পরে, আমার সাথে এক ভদ্রলোক দেখা করতে চায়। দেখা হতো কি না আমি জানি না, অধ্যাপক সাঈদ বলল, নাস্তা খেতে আসিস। ওঁ তো আমাকে তুই তুই করত, আমরা একসঙ্গে পড়েছি। তুই যদি আসিস, তো আমরা একসঙ্গে দেখা করতে যেতে পারি, তো আমরা গেলাম সাঈদের বাসায়।

গিয়ে দেখি যে এক ভদ্রলোক ইয়ে স্যুটট্যুট পড়া, অনেক কথা টথা বললেন। ইন্ডিয়ান ডিফেন্স সেক্রেটারি ইস্ট জোনের। বলল, আমরা সবাই আপনাকে চিনি। আমাদের সবাই আপনার লেখা পড়েছি। আমাদের সেক্রেটারি মহলে প্রচুর আলোচিত আপনি। কিন্তু আপনি যে রাজনৈতিক দলের পক্ষে ঐ রাজনীতির পক্ষে এখন আমরা নই। সরাসরি সে বলল, আমাদের হিসেবে আপনারা যদি ক্ষমতায় যান, ছয় মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে কখনও মনে করেন যে, অসুবিধায় আছেন তাহলে শুধু কোনো মতে বর্ডার ক্রস করে বিএসএফকে আপনার নাম বলবেন আর আমার নাম বলবেন।

এরাই সব ব্যবস্থা করবে—বর্ডার ক্রস করে যেকোন ক্যাম্পে গিয়ে আমার নাম বলবেন, তারপরের ব্যবস্থা, ভারত সরকারের অতিথি। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বললাম যে, আশাকরি সে প্রয়োজন হবে না।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: হা হা হা। সে প্রয়োজন হবে না।

মোহাম্মদ রফিক : তুমি বুঝতেই পার যে, কি ধরনের আলোড়ন তৈরি করেছিল কবিতা। আমি, আমাদের ওখানে একটা রাজনৈতিক গ্রুপের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তারা এসে বলল যে, আমরা এ ব্যাপারটা নিয়ে একটা অনুষ্ঠান করতে চাই। রিহার্সাল শুরু করলাম। একদিন সেলিম এসে উপস্থিত হলো, আমি এই একটা অংশের গান করে দেবো। বললাম দাও। ওঁ ঐ অংশের গান করে দিল। তারপরে জমজমাট অনুষ্ঠান হলো। এর পরে ঢাকা থেকে কবিরাও এল। রুদ্র এল, আরও কে কে জানি এল। ও তুষার দা। জমজমাট অনুষ্ঠান হলো। এর কয়েকদিন পরে ঢাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতা, জাসদের নেতা, ছাত্র ইউনিয়নের নেতা সবাই আমার জাহাঙ্গীরনগরের বাসায় হাজির হলো। বিএনপি, ছাত্রদলের নেতা ছিল কিনা মনে নেই, হয়তো ছিল—হয়তো ছিল না। উপস্থিতরা বলে, আমরা এটা নিয়ে অপরাজেয় বাঙলার নিচে একটা অনুষ্ঠান করব। শুনে ছেলেমেয়েরা যারা অংশ নিয়েছিল ওরা খুব উৎসাহী হলো।

অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠানটা হলো। আমি বলব একটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তারা কিন্তু সাহস করে নিচে আসলো না। ঐ দোতালা, তিনতালায় দাঁড়িয়ে থাকল। অনুষ্ঠান হওয়ার পর ঐ ছাত্ররা, ঐ নেতারা বলল, স্যার, আমরা এরশাদ বিরোধী মিছিল করব। তবে আমরা রাস্তায় যাব না। আমি বললাম যে আচ্ছা ঠিক আছে। সেটাই হচ্ছে বাংলাদেশে প্রথম এরশাদ বিরোধী মিছিল এবং সর্বদলের ছাত্র-ছাত্রী এবং নেতা-নেত্রী অংশ নিল। ঐখানে—

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: স্যার, আপনি কি ঐখানে খোলা কবিতাটা পড়লেন?

মোহাম্মদ রফিক : না আমি পড়ি নি। ঐ ছাত্রছাত্রীরা পাঠক্রম করল। কেউ আবৃত্তি করল। আমি উপস্থিত ছিলাম।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: বাহ।

মোহাম্মদ রফিক : শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনই অংশ নিয়েছিল। সে হচ্ছে হুমায়ূন আজাদ। আর ছাত্রদের মধ্য থেকে অংশ নিয়েছিল, রুদ্র, কামাল। এরা।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন : স্যার, হুমায়ূন আজাদ যেহেতু এল-ই, একটা জরুরি বিষয় আমি অবতারণ করতে চাই, বাংলা একাডেমি পুরস্কার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আপনি এবং হুমায়ুন আজাদ নিলেন সেই পুরস্কার। সেটা হলো এরশাদ সাহেবের সময়!

মোহাম্মদ রফিক : হাঁ, এরশাদ থাকতেই।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: স্বৈরাচারের কাছ থেকে পুরস্কার নিলেন! মানে ঐ পুরস্কার নিয়ে তো কিছু ঘটনাবলী ছিল। মানে সংক্ষেপে যদি বলা যায়।

মোহাম্মদ রফিক : না আমি এটা খুব বিব্রতবোধ করি। আমি লোক পরম্পরায় শুনেছি। এরশাদের বা এরশাদের লোকজনের জন্যই আমাকে পরপর তিন বছর বাংলা একাডেমির পুরস্কার দেওয়া হয় নি।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন:  বাংলা একাডেমি পুরস্কার তিন বছর বন্ধ ছিল।

মোহাম্মদ রফিক : না এক বছর বন্ধ ছিল। সে বছর লোক যে ছিল, মঞ্জুর-এ-মওলা, সে বলেছিল, লোক পাওয়া গেল না বলে দিলাম না। যাই হোক, বিষয়টা হচ্ছে সে চেষ্টা করেও আমাকে দিতে পারে নি। ইমোশনালি প্রবলেমটা আমাকে বলতেও পারে নি। পরে বলেছে।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: আচ্ছা।

মোহাম্মদ রফিক : তারপরে যে ঘটনা ঘটল, আমি যায়যায় দিনে লেখালেখি করলাম—লিখলাম, আমার নাম যেন আর না আসে প্রস্তাবে। চিঠি লিখলাম। তো পরের বছর আবার পুরস্কার দেওয়ার সময় আসলো। আমি তখন অনেক সময় নিজের বই নিজে বিক্রি করতাম। হঠাৎ দেখি ঐ দিন বিকেল বেলা আমার টেবিলের আশপাশে কবি’রা ঘুরঘুর করছে। নূরুল হুদা এবং অন্যান্য কবি। আবার আবু হেনা মোস্তফা কামাল। আবু হেনা মোস্তফা কামাল খুব বড় রোল প্লে করেছে। তিনি আবার আমার স্যারও, এক সময়কার রাজশাহীতে।

যাই হোক তিনিও খুব চাইলেন আমি পুরস্কার নেই। আমার সাথে উনার সম্পর্ক তখন খুব একটা ভালো ছিল না। তিনি এটা তাঁর বক্তৃতায়ই বলেছেন। অবশ্য পরবর্তী কালে আবার ওর সাথে আমার সম্পর্ক ভালো হয়ে যায়। তো ঐ দিন দেখি কি হঠাৎ বিকেলের দিকে, নুরুল হুদা, শওকত ওসমান, কবীর চৌধুরী ও আবুল হোসেন আমার টেবিলের চারদিকে ঘুর ঘুর করছে। আমি বুঝতে পারলাম না যে কি হচ্ছে। তো কে জানি, এদের মধ্যে একজন এসে আমাকে বলল যে, আমরা এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং আমরা বলেছি যে তুমি যদি পুরস্কার না নাও তাহলে আমরা অপমানিত হব। আমরা কেউ এই কমিটিতে থাকব না। তুমি এটাকে নাও।

টাকে রিজেক্ট করো না।

মোহাম্মদ রফিক : শওকত ওসমান আমার নিজের শিক্ষক। দীর্ঘদিনের জন্য।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: একেবারে সরাসরি শিক্ষক।

মোহাম্মদ রফিক : তারপর আবুল হোসেন সাহেব। আমি দেখলাম যে ওদের অপমান করে আমার কোনো লাভ নেই। এর পরে নূরুল হুদা আসলো, এসে বলল, আপনি চলেন আমরা কোথাও যাব চা খেতে। এই আর কি।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: হুমায়ূন আজাদের সাথে পাওয়া এতে বোধহয় আপনার খুব একটা তৃপ্তি কাজ করে নাই।

মোহাম্মদ রফিক : সত্যি খুব একটা তৃপ্তি যে কাজ করেছে তা না। হুমায়ূনের লেখাটেখা যাই হোক, হুমায়ূনের মানে, সব কিছু মিলিয়ে নিয়ে আমি খুব একটা সন্তুষ্ট নই। যদিও হুমায়ূনের উপর আমি কিছু লেখা লিখেছি। এখনও লিখব। তবে হুমায়ুনের কিছু ব্যাপারে আমার আপত্তিও আছে।

শিমুল সালাহ্উদ্দিন: আপত্তিও আছে!

মোহাম্মদ রফিক : আমার ছাত্র অবস্থায় যোগাযোগ হয় নি। যদিও আমি যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ওঁ তখন প্রথম বর্ষে। ওঁ যখন চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয়ে তখনই প্রথম আমার বাড়িতে আসে। চট্টগ্রামে একটা হোটেলের ছাদে আমরা আড্ডায় বসতাম। সেখানে অনেক গল্প টল্প হয়েছে, পানাহার, খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। (চলবে)

এইচ/এসআই/বিআই/২৪ অক্টোবর, ২০১৬
পরের অংশ পড়তে ক্লিক করুন

About ইনফো ডেস্ক