‘কোমেন’ আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক উপকূলের জনজীবন

ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মংলা সমুদ্র বন্দরসহ উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের জনজীবন।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭ নম্বর এবং মংলা বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এতে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মংলা বন্দর।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম মোক্তাদির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সংকেত জারির পর বন্দরে আবারো কাজ শুরু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্দরে অবস্থান করা জাহাজগুলোতেও কাজ শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তবে এখনো বৃষ্টিপাতের কারণে মংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের হ্যাচ খুলতে না পারায় পণ্য ওঠা-নামা (খালাস) বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, বিপদ সংকেত নামিয়ে সতর্ক সংকেত জারির খবরে বাগেরহাটসহ উপকূলের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। শরণখোলাসহ কয়েকটি এলাকার কাঁচা ঘরবাড়ির বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয় থেকে নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।

বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এ তথ্য জানান।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতুল মন্ডল জানান, আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্বজনদের বড়িতে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া উপকূলীয় মানুষেরা নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।

তবে, উপজেলার বলেশ্বরসহ নদীগুলোতে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় থেকে ২ ফুট বেড়েছে।

অন্যদিকে, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল উদ্দিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে আশ্রয় নেওয়া জেলেরা এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। বনের ভেতরের নদ-নদীর পানির উচ্চতা আগের চেয়েও ২ ফুটের মতো বেড়েছে।

আবহাওয়া বার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজকে শুক্রবার বিকেল (৩১ জুলাই) পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।