প্রচ্ছদ / খবর / জেএমবি নেতা আরিফের দাফন সম্পন্ন

জেএমবি নেতা আরিফের দাফন সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

রোববার দিনগত রাত (১৭ অক্টোবর) দেড়টায় বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর উত্তর কান্দী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এরআগে কড়া নিরাপত্তার মাঝে রাত ১২টা ৫২ মিনিটে আসাদুলের মরদেহ তার শশুর বাড়ি মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর উত্তর কান্দী গ্রামে আনা হয়।

উদয়পুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. কামরুজ্জামান মোল্লা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, মরদেহ গ্রামে আনার পর কবরস্থান প্রাঙ্গনে আরিফের জানাজা শেষে পুলিশ প্রহরায় উদয়পুর উত্তর কান্দী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

উত্তর কান্দী গ্রামের কাওসার মোল্লার মেয়ে খাদিজা বেগমের সঙ্গে ৯-১০ বছর আগে আরিফের বিয়ে হয়। সেই সূত্রে তার শশুরের আবেদনে ও আরিফকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এই গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

এরই মধ্যে ওই মামলার আসামী জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তৎকালীন শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এ ছয় জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর হয়।

ওই সময় পর্যন্ত পলাতক থাকা আসামী আসাদুল ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। উচ্চ আদালত তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখেন।

রোববার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা কারাগারে দন্ডিত আসাদুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে কারা কর্তৃপক্ষের আসাদুলের স্ত্রী খাদিজা বেগমের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম খায়রুল আনাম বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারায় মরদেহ পৌছানোর পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এইচ/এসআই/বিআই/১৭ অক্টোবর, ২০১৬
** জঙ্গি আরিফের দাফন হবে মোল্লাহাটে

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ