প্রচ্ছদ / খবর / চিতলমারীতে ৪দিন ধরে স্বামী বাড়িতে অন্ত:সত্বা স্ত্রী’র অনশন

চিতলমারীতে ৪দিন ধরে স্বামী বাড়িতে অন্ত:সত্বা স্ত্রী’র অনশন

বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্ত্রী’র মর্যাদা ও অধিকারের দাবিতে ৪ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন অন্ত:সত্বা এক গৃহবধূ।

chitalmari-Bagerhat-Pic-1(31-01-2015)এদিকে বাড়ীতে স্ত্রী’র উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

স্বামীর প্রতারণার শিকার জোৎস্না আক্তার নামে অনশনরত ওই নারী জানান, তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বাসিন্দা (বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হলো না)। প্রায় এক বছর আগে বাগেরহাট টেলিফোন বিভাগের বাবু নামে এক কর্মচারীর সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে এক সময় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে ৭-৮মাস আগে দু’জনে মিলে আদালেতে তাদের রেজিষ্ট্রি বিয়ে করেন।

বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাগেরহাট শহরে ভাড়া বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন। তখন দিনগুলো ভালভাবে কাটলেও কয়েক মাস পর থেকে বাবুর প্রতি জোৎস্নার সন্দেহ জাগায় সে তার ব্যাপারে খোঁজ নেয়। এতে নিজের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পরার ভয়ে গত ১৫-২০ দিন আগে বাবু গা ঢাকা দেয় ও জোৎস্নার সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখে।

এতে সন্দেহ আরো বেড়ে যাওয়ায় জোৎস্না বাবুর অফিসসহ অন্যন্যা জায়গায় খোঁজ নিলে বেরিয়ে আসে বাবুর ধর্ম পরিচয় গোপন করাসহ আসল প্রতারণার কাহিনী।

তখন সে জানতে পারে হিন্দু হয়েও পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে বাবু। তার আসল নাম আনন্দ মৃধা। চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামের মনু মৃধার পুত্র সে।

আনন্দ’র বাড়ির ঠিকানা জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার থেকে জোৎস্না চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামে এসে আনন্দ’র বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার দাবিতে অনশন শুরু করে। এঅবস্থায় আনন্দ’র বাড়ির লোকজন বাড়ী ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। বর্তমানে তিনি মাসের অন্ত:সত্বা বলেও দাবি করছেন জোৎস্না।

প্রতারণার শিকার জোৎস্না আক্তার জানান, আনন্দ’র ঘরে আগের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে বলে এখানে এসে জানতে পারেছেন। বর্তমানে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শালিশের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আনন্দ ও তার পরিবার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।

এব্যাপারে আনন্দ মৃধার ছোট বোন স্মৃতি মৃধা জানান, বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য পাটরপাড়া গ্রামের সুমন শেখ ওরফে রাঙা সুমনের কাছে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট টেলিফোন বিভাগের ইনচার্জ খলিলুর রহমান জানান, গত ১৪ জানুয়ারী থেকে আনন্দ অফিসে উপস্থিত নেই। সেই থেকে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, তারা এধরনের কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩১ জানুয়ারি ২০১৫ :: স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এস/আই হক-এনআরএডিটর/বিআই

About ইনফো ডেস্ক