প্রচ্ছদ / খবর / আত্মসমার্পণ করছে সুন্দরবনের আরও দুটি দস্যু বাহিনী

আত্মসমার্পণ করছে সুন্দরবনের আরও দুটি দস্যু বাহিনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

Bagerhat-SB-Doshu-Salender-Pic-02(31-05-2016)মাস্টার বাহিনীর ধারাবাহিকতায় আত্মসমর্পণ করছে সুন্দরবনের আরও দুটি কথিত দস্যু দল ‘মজনু বাহিনী’ এবং ‘ইলিয়াজ বাহিনী’।

বুধবার (১৩ জুলাই) বাগেরহাটের মংলা বন্দরের বিএফডিসি (ফুয়েল) জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে তাদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পনের কথা রয়েছে।

পুলিশের বিশেষ বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র‌্যাব) বিশ্বস্ত একটি সূত্র বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, গত ৩১ মে সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় দস্যু দল মাস্টার বাহিনী অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। তখন মন্ত্রী সুন্দরবনের অন্যান্য দস্যু বাহিনীদেরও আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন অপরাধ জগত ছেড়ে দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইলে সরকার তাদের সহায়তা করবে।

এ ধারাবাহিকতায় সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ (খুলনা ও সাতক্ষীরা) ও বঙ্গোপসাগরে দস্যুবৃত্তি করা মজনু বাহিনী এবং ইলিয়াজ বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে। এ দুই বাহিনীর কাছে ২০টির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েক শত রাউন্ড গোলা বারুদ রয়েছে। দস্যুতায় ব্যবহৃত জলযানসহ (নৌকা, ট্রলার) ওই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাহিনী দু’টির সদস্যরা স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

অপর একটি সূত্র জানায়, বুধবার মংলায় দস্যুদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ হলেও সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ টহল ফাঁড়িতে র‌্যাব ও দস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণের বিষয়টি চুড়ান্ত হয়। পরে সেখান থেকে তাদের নিয়ে বনের গহীনে যায় র‌্যাব।

বন বিভাগ ও জেলে সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় বর্তমান সময়ে অন্যতম বড় দস্যু দল মজনু বাহিনী। সাগর ও সুন্দরবনে জেলেদের কাজে এ বাহিনীর সদস্যরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা প্রতিনিয়ত জেলেদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন এবং জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।

অন্যদিকে সুন্দরবনে এক সময়ের ত্রাস দস্যু রাজু বাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় টিকতে না পেরে ভারতে আশ্রয় নিলে ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ইলিয়াজ নিজ নামে বাহিনী গোড়ে তোলে। ওই বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ এবং বঙ্গোপসাগর এলাকায় দস্যুতা চালিয়ে আসছিল। অবশ্য পরবর্তীতে ইলিয়াজও পালিয়ে গেলে তার বাহিনী অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়।

৩১ মে সুন্দরবনের দস্যু দল মাস্টার বাহিনীর প্রধানসহ ১০ দস্যু স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। মাস্টার বাহিনীর সদস্যরা ওই সময় ৫২টি বিদেশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় ৫ হাজার রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি জমা দেন।

এসআইএইচ/বিআই/১১ জুলাই ২০১৬

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ