প্রচ্ছদ / খবর / পাচারকালে ১২৫ বস্তা চাল উদ্ধার, অভিযোগের তীর ইউপি চেয়ারম্যানের দিকে

পাচারকালে ১২৫ বস্তা চাল উদ্ধার, অভিযোগের তীর ইউপি চেয়ারম্যানের দিকে

বাগেরহাটের রামপাল থানার বাবুবাড়ি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে পাচারকালে ১২৫ বস্তা চাউল আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন।

ছবি: শচীন্দ্র নাথ মন্ডল।
ছবি: শচীন্দ্র নাথ মন্ডল।

শুক্রবার সকালে মংলা-খুলনা মহাসড়কের রামপাল গোনাই ব্রিজ এলাকা থেকে ট্রাকযোগে পাচারের সময় এ চাল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় কোষ্টগার্ড তাৎক্ষনিত ৪জনকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের অনুকুলে বরাদ্দ হওয়া এ চাল উদ্ধার ও আটকের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে দিকে অভিয়োগ উঠেছে সরকারি ওই চাউল পাচারের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান  প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে।

কোষ্টগার্ড মংলা সদর দপ্তরের অপারেশন কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার শরিফুল হক জানান, শুক্রবার সকালে মংলা খাদ্য গুদাম থেকে কাবিখা’র ১’শ ২৫ বস্তার ১০ মেঃ টন চাউল সড়ক পথে ট্রাকযোগে খুলনায় পাচার হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে মংলা-খুলনা মহাসড়কে কোষ্টগার্ডের একটি দল ওঁৎ পেতে থাকে।
মহাসড়কের গোনাই ব্রিজ এলাকা হতে ০১টি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড-১১-৩৭১১), ০১ টি ইঞ্জিন চালিত ভ্যানসহ সরকারী গুদাম হতে পাচরকৃত ১২৫ বস্তায় ৯৮৭০ কেজি চাউল জব্দ করে কোষ্টগার্ড। এ সময় এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ চোরাকারবারীকে আটক করা হয়। আটককৃত চালের বাজার মূল্য আনুমানিক মূল্য ২৩,৯৫,৪৫০ টাকা বলে বলে জানান ঐ কর্মকর্তা।

আটকৃতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে কোষ্টগার্ডের এ কর্মকর্তা জানান, উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অর্ণিবান হালদার মংলা খাদ্য গুদাম থেকে সরকারী এ চাল আত্মসাৎ করে গুদামের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে কালোবাজারে বিক্রি করে। পরে এ চাল ট্রাক যোগে সড়ক পথে খুলনায় পাচার হচ্ছিল।

এ বিষয়ে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নরর চেয়াম্যান অর্ণিবানের কছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তার পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য চঞ্চল মন্ডল, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রদীপ হালদার এবং সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং এর সদস্য মরিয়ামের ওপর দোষ চাপিয়ে দেন তিনি।

এ দিকে চাল পাচারের সাথে জড়িত ৪ চোরকারবারীকে আকট করা হলেও উপরি মহলের তদ্বিরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে উদ্ধার ১২৫ বস্তা চাউল রামপাল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ, ইতি পূর্বে গম আত্মসাৎ করে কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে এ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
আর এ খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে  তখনও এ নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়। শাসকদলের সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান অর্ণিবান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পুরো ঘটনা ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন।

About ইনফো ডেস্ক