প্রচ্ছদ / খবর / বিশেষ পোশাক ব্যবহার করছে সুন্দরবনের দস্যুরা

বিশেষ পোশাক ব্যবহার করছে সুন্দরবনের দস্যুরা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো বিশেষ পোশাক ব্যবহার করছে সুন্দরবনের গভীরে বেশ কয়েকটি জলদস্যুর গ্রুপ। আর এমন পোশাকের কারণে জেলেরা হঠাৎ করে দস্যু বাহিনীগুলোকে চিহ্নিত করতে পারছেনা না। ফলে সুন্দরবরন বাড়ছে দস্যু বাহিনীগুলোর হাতে অপহরণের ঘটনা।

Mongla-Photo28.08

এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন, সুন্দরবনে দস্যুদের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাওয়া জেলেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মংলার এক মাৎস ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদকে জানান, “দস্যু বাহিনীগুলো তাদের দল চিহ্নিত করতে এ পোশাক ব্যবহার করে। তবে সব দস্যুদলের এমন পোশাক নেই। কেবল প্রভাবশালী দস্যু গ্রুপ গুল এ ধরণের পোশাক ব্যাবহার করে।”
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুন্দরবনে এক অভিযানে মংলার থানার তখনকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন আহাম্মেদ দস্যুদের ব্যবহৃত এমন কিছু ‘ফৌজি’ পোশাক উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মংলা কোস্টগার্ডের অপারেশন্স কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার এমদাদ বাগেরহাট ইনফোকে জানান, “কোস্টগার্ড এ ব্যাপারে অবগত নয়। এটি আমাদের কাছে নতুন খবর।”
তবে দস্যু দমনে প্রশাসনের তরফ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ডের ঐ কর্মকর্তা।
সুন্দরবনের দুবলার ফিসারমেন গ্রুপের হিসাব মতে, প্রতি বছর দস্যুরা প্রায় ২ লাখ জেলে বাওয়ালীর কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ কোটি টাকা আদায় করে। আর এর জন্য সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর এলাকায় দস্যুরা প্রতিনিয়ত হামলা, লুটপাট, অপহরণ চালাচ্ছে।
দস্যুদের দাপটে এখন অতিষ্ঠ পুরো সুন্দরবন সহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার কয়েক লাখ জেলে, বাওয়ালী ও সুন্দরবনের উপর নির্ভরর্শীল অনান্য পেশার মানুষ।
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, দস্যু দমনে বনরক্ষীদের গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বনরক্ষীদের নেটওয়ার্ক সক্রিয় করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বনের ভেতরে ক্যাম্প-ফাঁড়িগুলো মেরামত ও সংরক্ষণসহ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরমীল জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

২৮ আগষ্ট ২০১৩ :: স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, এম. এম. ফিরোজ
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।

About ইনফো ডেস্ক