প্রচ্ছদ / খবর / সুন্দরবন সংরক্ষণে সরকার উদাসীন

সুন্দরবন সংরক্ষণে সরকার উদাসীন

সুন্দরবন সংরক্ষণে বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোর উদ্বেগ ও আগ্রহ থাকলেও বাংলাদেশের সরকার উদাসীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

BNP-Time-in-Sundorbon-1(22-12-14)শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কারডুবির ঘটনায় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ওই নেতা বলেন, সকারের সুন্দরবন বিষয়ে আগ্রহ নেই। বরং তারা এই বন ধ্বংস করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে।

দুর্ঘটনা কবলিত ওটি সাউদার্ন স্টার ৭ কে ‘বালুবাহী নৌযান’ বলে মন্তব্য করে মেজর (অব:) হাফিজ বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর যে, এমন একটি নৌযানে বিপজ্জনক জ্বালানী তেল পরিবহণ করা হচ্ছিলো। সুন্দরবন নিয়ে এই সরকারের যদি কোন আগ্রহ থাকতো তবে এমনটি হতে পারতো না। এর আগেও এই সরকার ভারতকে খুশী করতে সুন্দরবনের পাশে রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। আরও একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বানানোর চেষ্টা করছে।

সাত সদস্যের এই তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, খুলনার মেয়র মনিরুজ্জামান, খুলনা-২ আসনের সাবেক সাংসদ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি এম.এ. সালাম, খুলনা জেলা বিএনপি’র সভাপতি শফিকুল আলম মনা, পরিবেশ সাংবাদিক কামরুল ইসলাম এবং সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম।

অসুস্থতা জনিত কারণে মেয়র মনিরুজ্জামান ছাড়া তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা সরেজমিন তদন্ত কাজে অংশ নেন।

দুপুর দেড়টা নাগাদ মংলা থেকে পশুর নদী পথে একটি লঞ্চে করে তদন্ত দলটি দুর্ঘটনা স্থলসহ শেলা নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। দুপুর তিনটার দিকে তারা ঐ নৌযানে করে বনের আরও ভেতরে ঢোকেন।

বাগেরহাট ও খুলনাসহ মংলা এবং রামপাল উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা তদন্ত দলটির সাথে ছিলেন।

বিকেলে জয়মনি খেয়াঘাট এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব:) হাফিজ জাান যে, তারা বনের ভেতরে প্রায় ত্রিশ কিলো মিটার এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে তিনি ও তার সহযোগীরা জানতে পেরেছেন যে, জ্বারানী তেলবাহী ট্যাঙ্কারডুবির ঘটনায় সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র ও জলজ প্রাণীর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। অনেক বণ্যপ্রাণী মারা গেছে।

তিনি আরও দাবি করেন যে, নদীতে মাছের অভাবে এলাকার মৎস্যজীবীরা এখন অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। পানিতে ভাসা জ্বালানী তেল অপসারণ করতে যেয়ে অনেক গ্রামবাসীর শরীরে চর্মরোগে দেখা দিয়েছে। তিনি সুন্দরবন, এর পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র এবং এরলাকার মানুষের জীবন রক্ষার্থে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারকে প্রতি আহ্বান জানান।

২২ ডিসেম্বর ২০১৪ :: সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এজি/এএইচ/আই হক-এনআরএডিটর/বিআই
** সুন্দরবনে তেল বিপর্যয়: জাতিসংঘের পরিদর্শক দল মংলায়

About ইনফো ডেস্ক