প্রচ্ছদ / খবর / বাগেরহাট-৩ উপনির্বাচন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে আ. লীগ প্রার্থী

বাগেরহাট-৩ উপনির্বাচন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে আ. লীগ প্রার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

হাবিবুন নাহারবাগেরহাট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হাবিবুন নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেতে যাচ্ছেন।

কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৪ মে) ছিল এই উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও ওই সময়ের মধ্যে তা জমা দেননি একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়ক মো. শাকিল আহসান ওরফে শাকিল খান।

এদিকে দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন একমাত্র প্রার্থী হাবিবুন নাহার।এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন স্বামী খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা, সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকুসহ দলীয় নেতা–কর্মীরা।

এরআগে গত ২২ মে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে হাবিবুন নাহারের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর তালুকদার আবদুল বাকী।

তফসিল অনুযায়ী, ২৭ মে যাচাই–বাছাই এবং ৩ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য রয়েছে। সেই হিসেবে ৪ জুন হাবিবুন নাহারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

রামপাল ও মোংলা এই দুই উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ৯৭ আসন বাগেরহাট-৩। এর আগে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য স্পিকারের কাছে সংসদ সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন তিনি। এরপর স্পিকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলে ১০ এপ্রিল আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

২১ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই আসনে সাবেক সাংসদ হাবিবুন নাহারকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরআগে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিগত দিনেও এই আসনের সাংসদ ছিলাম। এই আসনে আবার নির্বাচিত হলে আমার অসমাপ্ত কাজ শেষ করব।’ এলাকার মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, তার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাগেরহাট-৩ উপনির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বাগেরহাট-৩ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হাবিবুন নাহার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দাখিলের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশন থেকে সংগ্রহ করা দুটি মনোনয়নপত্রের মধ্যে একটি জমা পড়েছে।

এই উপনির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. শাকিল আহসান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তিনি তা জমা দেননি। ফলে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হাবিবুন নাহারের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

‘তাঁর জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রে কোনো ত্রুটি না থাকলে তিনি এই আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চলেছেন। আগামী ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করা হবে।’

এদিকে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে চলচ্চিত্র অভিনেতা ও ব্যবসায়ী শাকিল খান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত নই। তবে আমি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি। আমার বাড়ি রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামে। পিতৃভূমির সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। তাই আমি নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম।’

গত ২০ মে বাগেরহাট-৩ আসনের শূন্য পদের উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে গণভবনে ডেকে ভবিষ্যতে রাজনীতির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলায় আমি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার সংগ্রহ করা মনোনয়নপত্রটি জমা না দিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী হাবিবুন নাহারকে সমর্থন জানাচ্ছি।

আগামী ২৬ জুন এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসনে নারী–পুরুষ মিলিয়ে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ২৪৯ জন।

এইচ//এসআই/বিআই/২৪ মে ২০১৮

নির্বাচন করতে চান নায়ক শাকিল খান

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ